Apr 1, 2013

Internet_o_amader_Jubosomaj

                                আমাদের যুবসমাজ ও ইন্টারনেট


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ তা‘আলার নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, আর
দুরূদ ও সালাম সে নবীর উপর যার পরে আর কোন নবী নেই। আরবী প্রবাদ বাক্য রয়েছে : ‘‘কোন বস্ত্তর ভালবাসা তাকে অন্ধ ও বধির করে দেয়।’’ অর্থা যখন কোন বস্ত্তকে ভালবাসে এবং তার ভালবাসা সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন সে তার দোষ-ত্রুটি ও ক্ষতিকর দিক
ভূলে যায়। ফলে সে তাতে কোন দোষ-ত্রুটি দেখেনা, তাতে কোন বিপদ বা অকল্যাণ খুঁজে পায় না, যদিও তাতে অনেক
দোষ-ত্রুটি, অনেক বিপদ ও অকল্যাণ থাকে। যেমন বলা হয়ঃ ‘‘আমি তার ভালবাসার কারণে কাল জিনিসকেও ভালবাসি, এমনকি তার ভালবাসার কালো
কুকুরকেও ভালবাসি।’’ আধুনিক যুগে যুবক ও যুবতীদের মাঝে ইন্টারনেট প্রীতি, গভীর মনোনিবেশ সহকারে
3 এর যথেচ্ছ ব্যবহার, কোন প্রকার ক্লান্তি অথবা বিরক্তবোধ ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেটের সামনে বসে থাকা এমনি একটি বিষয় যা সামাজিক ও চারিত্রিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে আমরা সঠিক পথ প্রাপ্ত যুবক যুবতীদের ব্যাপারে কথা বলছিনা, যারা ইন্টারনেটকে বৈধ প্রয়োজনে ব্যবহার করে, অথবা জাতির কল্যাণে ব্যবহার করে অথবা বিভিন্ন কল্যাণকর অঙ্গনে ব্যবহার করে। যেমন স কাজের আদেশ, অস দাওয়াত, ইসলামের শত্রুদের জবাব দান, উত্তম চরিত্র ও উপকারী জ্ঞান বিজ্ঞনের প্রসার। আর তারা মাকড়সার জালের ন্যায় পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা এ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল উপকারী ও কল্যাণকর বিষয় সমূহ থেকে যথা সম্ভব উপকৃত হয়ে থাকে। বরং আমরা কথা বলছি ঐ সকল হাজার হাজার যুবক ও কাজের নিষেধ, ইসলামের দিকে সমূহ বিপদগ্রস্থদের ব্যাপারে,
4
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিপর্যস্ত হয়েছে, এতে কঠিনভাবে আসক্ত হয়েছে, এমনকি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ থেকে বিমুখ হয়েছে। ফলতঃ ইন্টারনেট এদেরকে সন্ত্রাস ও বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্ম কান্ডের দিকে ধাবিত করেছে। তাদেরকে ইন্টারনেট কি কল্যাণ উপহার দিয়েছে? আল্লাহর দিকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে কোন উপকারিতা কি তারা পেয়েছে? তারা কি ইসলামের শত্রুদের পদক্ষেপ সমূহ চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে? ইসলাম ও মুসলিমদের নিধন করার ব্যাপারে শত্রুদের ঘৃণা ও ষড়যন্ত্র সমূহ তারা কি চিহ্নিত করতে পেরেছে? তারা কি ইসলামী ওয়েবসাইটসমূহের মাধ্যমে উপকারী শরয়ী জ্ঞানসমূহ লাভ করতে সক্ষম হয়েছে? তারা কি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান লাভ এবং এর মাধ্যমে উন্নতি ও অগ্রগতির কারণ সমূহ জানতে সক্ষম হয়েছে? তারা কি পরিসংখ্যান নির্ভরশীল সামগ্রীক গবেষণা কর্ম সম্পাদন করতে বিদ্যা ও বিশিষ্ট বিষয়সমূহের
5
সক্ষম হয়েছে? তারা কি জাতির মর্যাদা পুনরুদ্ধার এবং অতীতের গৌরব গাঁথার ইতিহাস প্রসারে সক্ষম হয়েছে? ইসলাম সম্পর্কে যে সকল অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে, তার জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে? আসলে ইন্টারনেটের উপকারীতা বহুবিধ। অধিকাংশ যুবক এ সকল উপকারী বিষয় সমূহের প্রতি গুরুত্বারোপ করেনা। তারা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে উলঙ্গ ছবি দেখার ক্ষেত্রে, অশস্নীল দৃশ্যসমূহ উপভোগ করার জন্য এবং এমন অবৈধ ওয়েবসাইট সমূহ খোঁজার ক্ষেত্রে, যা একজন যুবককে পাশবিক শক্তিতে বন্দি করে ফেলে আর পাশবিক কুপ্রবৃত্তির সামনে দূর্বল করে ফেলে। ফলে তাকে ফলদায়ক উপকারী যে কোন কাজ থেকে বিরত রাখে এবং তাকে সংকীর্ণ গন্ডীতে বন্দি করে রাখে। এ চক্রটি কুপ্রবৃত্তি এবং পাশবিক শক্তির বৃত্ত, যা তাকে পূর্ণভাবে গ্রাস করে নেয়।
6
অথচ এ ইন্টারনেট বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ঘটনাবলীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহার করা যায়, এক কথায় যাকে ‘বিশ্বকে এক কক্ষে নিয়ে
আসার মাধ্যম’ বলা যায়। এর মাধ্যমে উলঙ্গ ছবি দেখা অথবা পথভ্রষ্ট যুবক যুবতীদের মাঝে যোগাযোগের মাধ্যমে এত বেশী সময় নষ্ট করা হয়, যে সময় তার জীবন উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা যেতো। ড. সুলাইমান আল-খুদারী বলেন, এ অশ্লীল ছবি সমূহ যুবক যুবতীদের মানসিক ও স্বাহ্যগত দিক থেকে অত্যন্ত ক্ষতিকর, কেননা এ ছবি সমূহ তার মনে ও ব্রেইনে সারাক্ষণ ঘুরপাক খেতে থাকে, ফলে তা দেখা তার বদ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ ছবি সমূহ দেখা হয়, তখন সে যে কোন উপায়ে সে পরিতৃপ্ত হতে চায়। আর তখনই এর ক্ষতিকর দিক অভিজ্ঞতায় অথবা সাময়িক আনন্দের অভিজ্ঞতায় পা প্রতিফলিত হয়, ফলে সে ভ্রান্ত
7
দেয়, যার ফলশ্রুতিতে সে শারিরীক ও মানসিক বিভিন্ন ক্ষতিকর রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং ভ্রান্ত জীবনের বর্ণিল চরকিতে ঘুরপাক খেতে থাকে। পরিসংখ্যানবিদ ও বিশ্লেষকদের মতেঃ-
১.
ইন্টারনেটের পরবর্তীতে বিয়ে করে না।
২. এদের ৭০% নিষিদ্ধ পল্লীতে যাতায়াত করে এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে।
৩. এদের ৫৫% তাদের পরিবারের কোন খোঁজখবর নেয়না।
৪. এদের অধিকাংশই খারাপ ওয়েবসাইট সমূহের ঠিকানা বিনিময় করে, এমনকি তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহেও। ফলে এটি শিক্ষা কার্যক্রকে বড়ই বাধাগ্রস্ত করে। আড্ডায় নিমজ্জিত ৮০%
8
৫. ইন্টারনেটে আসক্ত অধিকাংশ যুবকের শিক্ষা জীবনের উপর এর কুপ্রভাব পড়ে। তাদের কেউ কেউ লেখাপড়ায় অগ্রগামী থেকেও পরে পর্যায়ক্রমে পশ্চাদগামী হয়ে পড়ে।
৬. ইন্টারনেটে আসক্ততা নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেগড়ে উঠার পরিবর্তে অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ-সংঘাতের ঘটনাঘটায়। ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক নতুন মুল্যবোধ গড়ে উঠে।
৭. যেমনি ভাবে ইন্টারনেট পারিবারিক বন্ধনকে শিথিল করে দেয়, তেমনি এর মাধ্যমে স্বাভাবিক বিবাহের মাধ্যমে গঠিত পরিবারতন্ত্র ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। ফলে পরিবারের পরিবর্তে অবৈধ পন্থার অবাধ জীবন যাপনে এরা অভ্যস্ত হয়ে উঠে। এরা মনে করে যৌনতাই বিবাহের মূল উদ্দেশ্য, আর সে উদ্দেশ্য যদি বিবাহ ছাড়াই পূরণ করা সম্ভব হয়, তাহলে বিাবহের আর প্রয়োজন কি? অথচ ইসলামেরদৃষ্টিতে বিবাহ বন্ধনে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে।
9
৮. কম্পিউটার সামগ্রীর মূল্য এবং ইন্টারনেট সংযোগ সস্তা হওয়ার ফলে অধিক সংখ্যক যুবক ইন্টারনেট জগতের দিকে ঝুঁকে পড়ার সুযোগ পায়। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ ওয়েবসাইটের সাথে তার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। অনেক রক্ষণশীল পরিবারের সন্তানদের শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে নৈতিকতা দূর্বল হয়ে পড়ে। অতএব, প্রিয় ভাইয়েরা, বোনেরা! একজন মুসলিম কি সব কিছুর সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে অথবা তা রাখা উচিত একজন বুদ্ধিমান যুবক যে তার নিজের, তার দ্বীনের,তার জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবে, অথচ সে কি চরিত্র বিধ্বংসী অশ্লীল দৃশ্য, উলঙ্গ ছবি দেখার মাধ্যমে তার মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিবে? অথচ যেখানে অমুসলিম যুবকেরা এ সংযোগের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক গবেষণা,
10
বিশ্বজগ
মাধ্যমে উন্নতি ও অগ্রগতির শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে। হে যুবকেরা! হে যুবতীরা! তোমাদের কি হলো যে, আল্লাহ তা‘আলা যে কারণে এ জীবন দান করেছেন সে উদ্দেশ্যই তোমরা ভূলে গেলে? আর তোমরা বিভিন্ন ধ্যান ধারণা নিয়ে আনন্দে মেতে আছ, যার কোন বাস্তবতা নেই, কোন উপকারিতা নেই। একজন মুসলিম যুবকের কি উচিত, আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামত সমূহকে তাঁর নাফরমানী ও বিরুদ্ধাচারনের কাজে ব্যবহার করবে? আল্লাহর এ বাণী
সম্পর্কে তোমার চিন্তা কি? নিয়ে গবেষণা এবং নতুন নতুন আস্কিারের ‘‘যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, (অযথা) তার পেছনে পড়ো না ; কেননা (কেয়ামতের দিন) কান, চোখ ও অন্তর, এ সব কয়টির (ব্যবহার ) সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা
11
হবে।’’ [সূরা-বনী ইসরাঈল : ৩৬ ]
আল্লাহ তায়ালার এ বাণী কি তুমি ভূলে গিয়েছ? ‘‘হে নবী, তুমি মোমেন পুরুষদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে (নিম্নগামী ও) সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহ হেফাযত করে; এটাই হচেছ তাদের জন্য উত্তম পন্থা; (কেননা) তারা (নিজেদের চোখ ও লজ্জাস্থান দিয়ে) যা করে, আল্লাহ তায়ালা সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে অবহিত রয়েছেন। আর মোমেন নারীদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে (নিম্নগামী ও) সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহ হেফাযত করে; আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য
12
তারা প্রকাশ করবে না।’’ [সূরা আন-নূর : ৩০-৩১] স্মরণ কর, আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী : ‘‘এ হচেছ আমার (সংরক্ষিত) নথিপত্র, যা তোমাদের(কর্মকান্ডের) উপর ঠিক ঠিক বর্ণনা পেশ করবে; নিশ্চয়ই তোমরা যখন যা করতে আমি তা (এখানে সেভাবেই ) লিখে রেখেছি।’’ [সূরা আল-জাছিয়া : ২৯] তুমি কি তোমার প্রতিপালক ও সৃষ্টিকর্তাকে লজ্জা করো না, যিনি তোমার ঘাড়ের চেয়েও নিকটবর্তী? তুমি কি জাননা, কিয়ামতের দিন অতি নিকটেই? যে দিন তোমার সব লজ্জাজনক ও অশ্লীল কাজ সমূহের গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাবে।
13
‘‘ সে দিন তাদের মন্দ কাজগুলো তাদের কাছে স্পষ্ট প্রকাশ হয়ে পড়বে, এবং সে বিষয়টিই তাদের পরিবেষ্টন করে নেবে যে ব্যাপারে তারা হাসি ঠাট্টা করে বেড়াত। [সূরা আল-জাছিয়া : ৩৩] তুমি কি জাননা, আল্লাহ তোমাকে দেখেন? তুমি যে অবস্থায়ই থাকনা কেন, তোমার সব কিছুই তাঁর সামনে প্রকাশিত। “অবশ্যই ও ভূখন্ডের কোন তথ্যই গোপন নেই।” [ সূরা আলে ‘ইমরান : ৫] সুতরাং প্রিয় ভাই ও প্রিয় বোন! আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর। তোমার প্রতিপালকের নাফরমানি থেকে বিরত থাক। তোমার যৌবন ও সুস্থতা যেন তোমার ক্ষতি না করে এবং তোমাকে ধোকায় না ফেলে। তুমি তোমার নিজের
আল্লাহ তা‘আলার কাছে আকাশমালা
14
চিকিসক হয়ে যাও। তোমার রবের ইবাদাত বন্দেগী,জিকির ও শুকর-গুজারী, তার কিতাবের তেলাওয়াতের মাধ্যমে তোমার অন্তরের রোগ সমুহ দুর কর। সাময়িক প্রবৃত্তির তাড়নায় জান্নাতকে বিক্রি করে দিওনা, যে জান্নাতের প্রস্থ আসমান ও যমীনের সমান। বিভিন্ন ফেতনা থেকে নিজেকে দূরে রাখ। ফিতনা থেকে পালাও, যেমনটি বাঘের ভয়ে তোমরা পালিয়ে থাক । কারণ, শান্তি এমন জিনিস, যার সমকক্ষ কিছুই নেই। সৌভাগ্যশালী সে ব্যক্তি যে অন্যের উপদেশ গ্রহণ করে। অতপর তাকওয়া ও সঠিক পথে চলার জন্য তোমার রবের সাহায্য ও তওফীক কামনা কর। কারণ, আল্লাহ তা‘আলাই একমাত্র তওফীক দাতা, তিনিই উত্তম অবিভাবক, তিনিই উত্তম সাহায্যকারী। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার পরিবারবর্গ এবং তার সাহাবীগণের উপর দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক।


একাডেমিক শাখা, দারুল ওয়াতান
অনুবাদ : ড. ইমাম হুসাইন
সম্পাদনা : ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী

10 comments:

  1. I'm really enjoying the theme/design of your web site. Do you ever run into any browser compatibility issues? A handful of my blog visitors have complained about my blog not operating correctly in Explorer but looks great in Firefox. Do you have any ideas to help fix this problem?

    Look at my web site :: e-cigaretter

    ReplyDelete
  2. I have been browsing online more than three hours as of
    late, yet I never discovered any interesting article like yours.
    It's pretty value sufficient for me. In my opinion, if all site owners and bloggers made good content as you did, the web can be a lot more useful than ever before.

    Have a look at my page ryge væsker

    ReplyDelete
  3. Greetings! Very helpful advice in this particular post!
    It is the little changes that make the largest changes.

    Thanks a lot for sharing!

    my homepage nicotine juices

    ReplyDelete
  4. This is very interesting, You're a very skilled blogger. I have joined your rss feed and look forward to seeking more of your great post. Also, I have shared your web site in my social networks!

    Have a look at my page :: el cigaret

    ReplyDelete
  5. I think this is among the most vital information for me.
    And i am glad reading your article. But should remark on few general things, The site style is ideal, the articles is really great : D.
    Good job, cheers

    My website ... smoke stop

    ReplyDelete
  6. Please let me know if you're looking for a author for your site. You have some really good articles and I believe I would be a good asset. If you ever want to take some of the load off, I'd really like to write some content for your blog in exchange for
    a link back to mine. Please blast me an email if interested.
    Regards!

    Here is my site :: หนังเก่า

    ReplyDelete
  7. You really make it appear really easy along with your presentation but I find this matter
    to be actually one thing which I believe I'd never understand. It seems too complex and extremely wide for me. I'm having a look forward to your next put up,
    I will attempt to get the hold of it!

    Look at my web-site personal vaporizer

    ReplyDelete
  8. Thanks a lot for sharing this with all people you really realize
    what you're talking about! Bookmarked. Please additionally visit my website =). We will have a hyperlink trade contract among us

    My web page: http://openfree.20.free.fr

    ReplyDelete
  9. This article will assist the internet people for building up new website or even a blog from start to end.


    My blog post ... e-cigs

    ReplyDelete
  10. Aw, this was a very good post. Finding the time and
    actual effort to make a good article… but what can I say… I put things off a lot and never manage to get anything done.


    My weblog ... e-cigaret væske

    ReplyDelete